শীতকালে কেন বেশি ঠান্ডা-জ্বর হয়?
ঠান্ডা বাতাসে বেশি ঠান্ডা লাগে বটে, কিন্তু সেটা ঠান্ডা-জ্বরের একমাত্র কারণ নয়। এটা ঠিক, ঠান্ডার কারণে সহজে জ্বর হয়। কারণ, ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গেলে তার ধাক্কা সামলাতে শরীরকে যথেষ্ট ঝক্কি পোহাতে হয়। ওই সময় রোগজীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধে শরীর যথেষ্ট প্রস্তুত থাকে না। তার ফলে কেউ কেউ হঠাৎ ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই
অসুস্থ ব্যক্তি হয়তো কারও বাসায় গেলেন। শীতের কারণে সাধারণত ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখা হয়। সেই বন্ধ ঘরে তিনি দিলেন হাঁচি। ফলে ঘরের অন্যদের মধ্যে সহজেই রোগের সংক্রমণ ঘটে। গরমের দিনে সাধারণত ঘরের জানালা খোলা থাকে। ঘরে আলো-বাতাস খেলে। ছোটখাটো ঠান্ডা-জ্বর সহজে ছড়াতে পারে না।
Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬● পটোলচেরা চোখ হলে সুন্দরী বলি কেন?
গায়ের রং ফরসা হলে সুন্দর বলা হয়। আগের যুগে মোটাসোটা মেয়েদের সুন্দরী বলা হতো, কারণ তারা পরিশ্রমী। আজকাল অবশ্য হালকা-পাতলা চেহারার মেয়েরাই সুন্দরী বলে বিবেচিত। অঞ্চলভেদে সুন্দরীর সংজ্ঞা একেক রকম। কিন্তু সব দেশে সব কালে পটোলচেরা চোখের মেয়েদের সুন্দরী বলি। কেন? আসল ব্যাপার হলো, পটোলচেরা চোখ বড় বলে চোখের মণির চারপাশের সাদা অংশটুকু উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ওঠে। প্রাণীদের মধ্যে মানুষের চোখের মণি ও তার চারপাশের সাদা-কালো (সাদা-ধূসর) অংশের বৈসাদৃশ্য (কনট্রাস্ট) লক্ষণীয়। এই কনট্রাস্টের সুবিধা হলো, সহজে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, যা অন্যের সহযোগিতা পাওয়ার অন্যতম শর্ত। মানুষ সামাজিক প্রাণী বলে একে অন্যের সহযোগিতা অপরিহার্য। আদিম যুগে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া মানুষের পক্ষে টিকে থাকাই মুশকিল ছিল। পটোলচেরা চোখ হলে সবাই তাকে কাছে পেতে চায়। কারণ, তার সান্নিধ্যলাভে যে সন্তানসন্ততি আসবে, ওদেরও পটোলচেরা চোখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটা মানব প্রজাতির সফলভাবে টিকে থাকার শর্ত সৃষ্টি করে। মানব প্রজাতির বিবর্তনে পটোলচেরা চোখ এভাবে অবদান রেখেছে। তাই এটা সৌন্দর্যের প্রতীক। অবশ্য পটোলচেরা চোখ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুন্দরী বলার এটাও অন্যতম কারণ। Collected By ⇒ Rz Rasel ●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬● |
Post a Comment