বাংলাদেশে নদীর নামে জেলার নামকরণ হয়েছে- ফেনী, ভোলা ও পটুয়াখালী (মোট ৩ টি জেলা)।
বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট ভিত্তিক সংবাদ সংস্থার নাম- bdnews24.com
'মনপুরা' দ্বীপটির অবস্থান- ভোলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত ২, ৫, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মুল্যমানের নতুন ৫টি নোট চালু- ১১ আগষ্ট, ২০১১।
বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ- মহেশখালী (বাশঁখালী নদীর তীরে অবস্থিত), কক্সবাজার।
'উয়ারী বটেশ্বর' প্রত্নস্থলটির (২৫০০ বছর আগের) অবস্থান- নরসিংদী।
CIRDAP (Centre on Integrated Rural Development for Asia and the Pacific) এর সদর দপ্তর- ঢাকা (সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখে চামেলি হাউস)।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র- হালদা নদী (চট্টগ্রাম)।
Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬● গরমের দেশে গরম মসলা বেশি চলে কেন?
শীতপ্রধান দেশের মানুষ ঝাল খেতে পারে না, আর আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে খাবারে যত ঝাল তত মজা। এ রকম কেন? অবশ্য আবহাওয়ার সঙ্গে খাবারের ঝালের সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে একটা ব্যাপার এ রকম হতে পারে, গরমে মাছ-গোশত দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে, খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় গরম মসলায় রান্না খাবার খেতে ভালো লাগে, খাবারের স্বাদ কিছুটা নষ্ট হলেও বোঝা যায় না। হয়তো এ থেকে ঝালের প্রচলন। রেফ্রিজারেটর আবিষ্কারের আগে ইউরোপে কোনো কোনো শীতের দেশে এ জন্যই রান্নায় ঝাল ব্যবহার করা হতো। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ঝাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কি না, তা বলা মুশকিল। তবে ঝাল খেলে জিহ্বায় প্রচুর লালা আসে এবং পেটে পাচকরস বের হয়, যা উষ্ণ আবহাওয়ায় ক্ষুধা বাড়ায়। কোনো কোনো চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ঝাল অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। এর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে ঝাল খেলে শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, ঘাম বেরোয় এবং সেই ঘাম শুকানোর প্রক্রিয়ায় শরীর ঠান্ডা হয়। গরমে এর চেয়ে আরাম আর কী হতে পারে! Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬●
শুধু মেয়ে-মশা কামড়ায় কেন? সব মশা-ই কামড়ায়, তবে মানুষকে কামড়ায় শুধু মেয়ে-মশা এবং সেটা ডিম পাড়ার আগে। তখন তাদের প্রচুর পুষ্টি ও শক্তির দরকার হয়। এটা তারা সংগ্রহ করে মানুষ বা কোনো পশুর গায়ের রক্ত থেকে। পুরুষ-মশা চাইলেও মানুষকে কামড়াতে পারবে না, কারণ তাদের হুল ও মুখ ততটা শক্ত নয়। ওরা শুধু ফুল ও লতাপাতায় হুল ফুটিয়ে রস ও মধু আহরণ করে। তাতেই ওদের উড়ে চলার শক্তি জোগাড় হয়। কিন্তু রক্ত ছাড়া মেয়ে- মশার চলে না। যে মশা হয়তো সাধারণত মাত্র পাঁচ থেকে দশটা ডিম পাড়ে, রক্ত খেয়ে সে ডিম পাড়ে অন্তত ২০০টি। যদিও মশার কামড়ে আমরা খুব কম রক্তই হারাই, মশার জন্য কিন্তু সেটুকু রক্তই দারুণ ব্যাপার। প্রায় সময়ই মশা তাদের দেহের ওজনের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ রক্ত পান করে। Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬●
সেভেন আপ নামটি কীভাবে এল? প্রায় ৮০ বছর আগে, ১৯২৯ সালে হালকা পানীয় হিসেবে সেভেন আপ বাজারে আসে। এর আবিষ্কারক প্রথমে কমলার রস বাজারজাত করে ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছিলেন। এরপর তিনি লেবুর গন্ধসমৃদ্ধ কোমল পানীয় তৈরির ১১টি ফর্মূলা নিয়ে গবেষণা করে সেভেন আপ তৈরি করেন। এতে ছিল সাতটি (সেভেন) প্রাকৃতিক সুগন্ধের সমাহার। তাই নামের প্রথমেই ‘সেভেন’। সে যুগে বিজ্ঞাপনে বলা হতো, সেভেন আপ পান করলে শরীর সতেজ ও হালকা হবে, আপনার কাজের প্রেরণা বেড়ে যাবে, হাওয়ায় ভাসবেন ইত্যাদি। ইংরেজি অঙ্ক ‘সেভেন’ (7)-এর গায়ে দুটি পাখা জুড়ে দিয়ে প্রলুব্ধ করা হতো যে সেভেন আপ আপনাকে শূন্যে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। এখানেই ‘আপ’ শব্দটির তাৎপর্য। এই দুয়ে মিলে নাম হয়েছে ‘সেভেন আপ’। Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬●
বক এক পায়ে ঘুমায় কেন? ওদের পায়ের পাতা এত বেশি ছড়ানো যে তারা সহজেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে পুরো শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। সুতরাং এক পায়ে যদি আসল কাজটা হয়, তাহলে মিছেমিছি দু পায়ে দাঁড়িয়ে শক্তি ক্ষয় করবে কেন? বক, সারস ও পরিযায়ী পাখি সব সময় খাদ্যের সন্ধানে উড়ে বেড়ায়। এ জন্য তাদের খুব বেশি শক্তি ব্যয় করতে হয়। তাই এরা সব সময় শরীরের শক্তি বাঁচাতে চেষ্টা করে। এক পায়ে দাঁড়ালে আরেক পা বিশ্রাম পায়, কিছু শক্তি বাঁচে। বিশেষভাবে শীতকালে এরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায়। কারণ তাদের লম্বা পায়ে পালক থাকে না বলে পায়ের চামড়া থেকে সহজেই শরীরের তাপ বেরিয়ে যায়। ঘুমানোর সময় যদি অন্তত একটা পা বুকের পালকে গুটিয়ে রাখে তাহলে শরীরে বেশি তাপ সংরক্ষণ করা যায়। ঠিক একই উদ্দেশ্যে ঘুমানোর সময় ওরা লম্বা ঠোঁট ও মাথা পাখার পালকের নিচে ঢেকে রাখে। Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬●
আঙুলগুলো ছোট-বড় কেন? আপনি একটা টেনিস বল হাতে তুলে নিন। দেখবেন, মুঠো করা অবস্থায় হাতের আঙুলগুলো আর ছোট বড় নেই, সব সমান। গোল জিনিস ধরার জন্য ছোট-বড় আঙুল দরকার। আদি যুগে মানুষ যখন গাছের ফল খেয়ে বাঁচত, গাছের নিচের ফল কুড়াত তখন থেকেই কিন্তু হাতের আঙুলের ছোট-বড় আকারের বিশেষ সুবিধা মানুষ উপলব্ধি করেছে। যদি সব আঙুল সমান হতো, তাহলে হয়তো গোলাকার ফল মুঠোয় ভরে ধরার পর কিছুটা লম্বা হয়ে বেরিয়ে থাকা কোনো আঙুলে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি থাকত। যেমন, কনিষ্ঠ আঙুলটি যদি মধ্যমার মতো লম্বা হতো, তাহলে হয়তো গোলাকার বস্তু ধরতে গিয়ে সেটা মচকে যেত। পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলটি ছোট হওয়ায় হাঁটতে সুবিধা হয়। আঙুলগুলোর আপেক্ষিক আকারের ভিন্নতা আমাদের চলাফেরা ও জীবনধারণের সঙ্গে জড়িত। এ জন্যই আঙুলগুলো ছোট বড়। Collected By ⇒ Rz Rasel
●▬▬▬▬▬▬▬▬۩۩▬▬▬▬▬▬▬▬● |